মেটাভার্স নিয়ে সিটিও ফোরাম ও টিএমজিবি’র সেমিনার
সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ ও প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) এর যৌথ আয়োজনে মেটাভার্স বিষয়ে একটি সেমিনার গত ৬ মার্চ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ভিশন টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির কম্পিউটার সায়েন্সের ডিরেক্টর প্রফেসর ড. দীপ নন্দী।
সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার এর সভাপতিত্বে সেমিনারে মেটাভার্স নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিক্ষাবিদ ও ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল হুদা খান। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান ইলিনয় ইউনিভার্সিটির অ্যান্থনি ক্লেমনস এবং টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সিটিও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আরেফ এলাহী মানিক।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমার বলেন, মেটাভার্সের জন্য নতুন কিছু লাগবে না, লাগবে শুধু মেধা। শিক্ষার্থীদের এই সেক্টরে আগ্রহী করে তুলতে হবে। দুনিয়া দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তিকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। কানেক্টিভিটিতে দুর্বল থাকলে মেটাভার্সের যুগে ভালো করার সুযোগ থাকবে না। তাই কানেক্টিভিটিতে সরকার কাজ করছে।
শিক্ষাবিদ ও ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল হুদা খান তার মূল বক্তব্যে বলেন, বিশ্বের সাথে আমরা যদি মেটাভার্সে তাল মিলিয়ে এগিয়ে না যাই, তাহলে উন্নত প্রযুক্তিতে আমরা পেছনে পড়ে যাবো। সরকারকে এই সেক্টরে এগিয়ে আসতে হবে। মেটাভার্সের ফলে এডুকেশন সেক্টরে বিপুল পরিবর্তন আসবে। সবাই যেন মেটাভার্স ব্যবহারের সুযোগ পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতো যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন কিছু শুধু দেখাই যাবে না, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা যাবে। মেটাভার্স প্রযুক্তিকে আপাতত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা ভিআর-এর কোন সংস্করণ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এটি আসলে তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এই প্রযুক্তির ফলে অনলাইনের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে সত্যিকারের বাস্তব পৃথিবীর মতো।