সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ২৪ ঘন্টা সাইবার পেট্রোলে র‍্যাব‌


সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ২৪ ঘন্টা সাইবার পেট্রোলে র‍্যাব‌

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইন্টারনেট দুনিয়ার অপরাধ ঠেকাতে এবং নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ২৪ ঘন্টা সাইবার পেট্রোলে থাকছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান বা র‍্যাব ।

রোববার টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনলাইন কনটেন্ট বনাম তথ্যবিভ্রাট ও গুজব বিড়ম্বনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ ।

গোলটেবিলে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আশিক বিল্লাহ বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে দেশে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি র‌্যাবের রয়েছে। এক্ষেত্রে র‌্যাব সবচেয়ে এগিয়ে আছে। ২৪ ঘন্টার সাইবার পেট্রোলিং করা হয়। সর্বপ্রথম রাষ্ট্রিয় সুনাম বিনষ্টকারীর বিরুদ্ধে অগ্রণী ভুমিকা নেয়া হয়। পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের সহায়তাও চলমান থাকে। বিটিআরসির সহায়তায় এই কার্যক্রমগুলো হয়ে থাকে। 

তিনি বলেন, দুইভাবে গুজব ও তথ্যবিভ্রাটের ঘটনা ঘটে থাকে। সামষ্টিকভাবে ও ব্যক্তি পর্যায়ে। রামু ও সুনামগঞ্জের সাল্লার ঘটনার মতো ঘটনাগুলো সামষ্টিক। আরেকটি ব্যক্তিভাবে নিজে বা পরিবার গুজব ও অনলাইন বিড়ম্বনার শিকার হওয়া। 

‘সামষ্টিক ও জাতীয় পর্যায়ে যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গুজব ও তথ্যবিভ্রাট করা হলে সেটি ফৌজদারি বা রাষ্ট্রিয় অপরাধ। র‌্যাব এই অপরাধ সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেখে থাকে। এসব অপারাধে  স্বপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের অল্প সময়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে। সাল্লায় ঘটনায় স্বপ্রোণিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলা করেছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে।’ বলছিলেন তিনি।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে সাইবার অপরাধ বেশি দেখা যায়। স্বাভাবিক অপরাধের দ্বিগুণের চেয়ে বেশি সাইবারে অপরাধে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। ব্যক্তি পর্যায়ে আক্রান্ত হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবরকম সহায়তা দিয়ে থাকে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করতে পারেন। তথ্য প্রমাণের দায়িত্বভার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেন। তদন্ত কর্মকর্তা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ হতে বিস্তারিত জেনে নেন।

তবে অনেকক্ষেত্রে অপরাধকারীর প্লাটফর্ম বাইরের দেশে হোস্টিং থাকলে সেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের হয়।

মুহম্মদ খানের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কনটেন্ট গবেষক অমি রহমান পিয়াল।

আলোচক প্যানেলে আরও ছিলেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি) এর সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের (এপনিক) নির্বাহী কমিটির সদস্য সুমন আহমেদ সাবির, যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার এবং তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোসিং (বাক্কো) এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান,  ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি) এর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানা খান ।

সোর্স লিঙ্কঃ টেকশহর